আপডেট: ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
ছবি: আপডেট নিউজ বিডি টোয়েন্টিফোর
উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে কাঁপছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গা। দুপুরের আগে দেখা মিলছে না সূর্যের। সূর্য দেরিতে হাসলেও রোদের নেই তেমন তাপ। শীতের তীব্রতায় বেলা না বাড়লে ঘরের বাইরে মানুষের তেমন দেখা মিলছে না। আবার সন্ধ্যার নামার সাথেসাথেই জনশূন্য হয়ে পড়ছে বাজার-ঘাট। ঘন কুশায়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বোরোধানের বীজতলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল। হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
বুধবার (২৪শে ডিসেম্বর) সকালে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময় যশোর ও পাবনার ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট ও দিনাজপুরে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, বুধবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল শতকরা ৯৭ ভাগ। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রতিবছর একাধিকবার শীত মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন ও গ্রীষ্ম মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। চলতি শীত মৌসুমেও এর ব্যতিক্রম হবে না বলে মনে হচ্ছে। এদিকে কয়েকদিন ধরেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় শীতের তীব্রতা বাড়লেও সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের দৃশ্য তেমন একটা চোখে পড়ছে না।
আমিনুর রহমান নয়ন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।

