২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ভারতে করোনায় আক্রান্ত ১৩০৮, মৃত ৩২

আপডেট: মার্চ ৩১, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক: ভারতে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের হার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভারতে করোনা ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩০৮ জন। মারা গেছেন ৩২ জন। ভারতে খুব দ্রুত হারে না হলেও, বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। বিশেষ করে ভারতের কেরালা, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, গুজরাট, দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে দ্রুত গতিতে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা।
মহারাষ্ট্র রাজ্যকে ছাপিয়ে গিয়ে করোনায় আক্রান্তে এক নম্বরে উঠে গেছে কেরালা রাজ্য। কেরালায় এ মুহূর্তে করোনায় আক্রান্ত ২৩৪ জন। মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত ২২০ জন। তবে করোনায় প্রাণহানির ঘটনায় এক নম্বরে রয়েছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্য। প্রাণঘাতী করোনায় এ রাজ্যে  ৯ জন মারা গেছে। কেরালায় মারা গেছে একজন। তবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃত্যুর হিসাবে মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে গুজরাট। গুজরাটে করোনায় মারা গেছে ছয়জন। আক্রান্ত ৭০ জন। দিল্লিতে আক্রান্ত ৯৭ জন, মারা গেছে দুজন। উত্তরপ্রদেশে করোনায়  আক্রান্ত ৯৬ জন। তবে এ রাজ্যে প্রাণহানির কোনো খবর নেই। কর্ণাটকে আক্রান্ত ৮৮ জন, মারা গেছে তিনজন। তেলেঙ্গানা রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত ৭০ জন। করোনাভাইরাস আক্রান্তের হিসাবে অন্য রাজ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গ। এ তিন রাজ্যেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুজন করে মারা গেছে। একজন করে মারা গেছে তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, জম্মু-কাশ্মীর, বিহার ও হিমাচলপ্রদেশে।
এদিকে করোনা সংক্রমণ আটকাতে ভারতজুড়ে লকডাউন চলছে। সংক্রমণ রুখতে আবারও দেশবাসীকে লকডাউন মেনে ঘরবন্দি থাকার আবেদন জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ভারতের রাজধানী  দিল্লির নিজামুদ্দিনে দুই হাজার মানুষকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। প্রায় ২০০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণের পরীক্ষা করা হয়েছে। পুরো এলাকায স্যানিটাইজ করা হয়। এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মীদের টিম পৌঁছেছে। লকডাউনের মধ্যেই রাজধানীতে যেভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের দল নিজের রাজ্যে ফিরতে রাস্তায় বেরিয়েছেন, তাতে শঙ্কা আরো বেড়েছে।
এদিকে, উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে একদল শ্রমিককে রাস্তায় বসিয়ে গায়ে জীবাণুনাশক ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এ অমানবিক ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের উদ্দেশে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন, ‘এমন অমানবিক কাজ করবেন না। শ্রমিকরা এমনিতেই অনেক কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। কেমিক্যাল স্প্রে করে তাঁদের গোসল করাবেন না। এতে তাঁদের ভালো না হয়ে শারীরিক বিপদ ঘটতে পারে।’
সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের প্রশ্ন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কেমিকেল স্প্রে নিয়ে কোনো নির্দেশিকা আছে কি?বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতীও ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network