আপডেট: এপ্রিল ১৭, ২০২১
অনলাইন ডেস্ক:: আগামীকাল রবিবার ( ১৮ এপ্রিল) দেশের সবচেয়ে বড় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল চালু হতে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আগামীকাল সকাল সাড়ে ১১টায় হাসপাতালটি উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন।
মহাখালীতে অবস্থিত ঢাকা নর্থ সিটি করপোরেশন মার্কেটে অবস্থিত এই হাসপাতালটির বিভিন্ন ফ্লোরে এখনও আইসোলেশন ফ্যাসিলিটি নির্মাণের কাজ চলছে। কিন্তু কোভিড রোগীর ক্রমবর্ধমান চাপে যেসব ফ্লোরগুলো প্রস্তুত সেগুলোতে রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়ে যাচ্ছে।
এক হাজার বেডের এই হাসপাতালের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল’। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এখানে থাকবে ১০০ শয্যার আইসিইউ। ১১২টি এইচডিইউ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া রোগীদের জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থাও রয়েছে।
তবে সব ব্যাচকে প্রশিক্ষণ দেওয়া এখনও সম্ভব হয়নি। আজকে চিকিৎসক নার্স দিয়ে ৪৫ জনের মতো নিয়ে একটি ব্যাচকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় যে জাতীয় গাইডলাইন রয়েছে সে অনুযায়ী রোগীদের ম্যানেজমেন্ট করার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, বলেন ডা. ফরহাদ হাছান চৌধুরী।প্রসঙ্গত, গত ২২ মার্চ করোনা রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকায় সরকারি আরও পাঁচটি হাসপাতালকে পুনরায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।নির্দেশে বলা হয়, দেশে ক্রমাগত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য রাজধানীর মিরপুরের লালকুঠি হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ডিএনসিসি করোনা আইসোলেশন সেন্টার ও সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে সার্বিকভাবে প্রস্তুত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আগামীকাল আপাতত ৫০ বেডের আইসিইউ, ৫০ বেডের জরুরি সেবা (মেডিসিন) এবং ১৫০টি আইসোলেশন বেডের আইসোলেটেড কক্ষ নিয়ে এই হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হবে।
তবে এপ্রিল মাস নাগাদ এটি সম্পূর্ণভাবে চালু করা যাবে বলে আশা করছি।ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন বলেন, উদ্বোধন হবার পরেই দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থা শুরু করা হবে। তবে এজন্য জনবলও প্রয়োজন হবে। তবে সবকিছু মিলিয়ে কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় ভালো কিছু করতে পারবো বলে বিশ্বাস করি। হাসপাতালটি পরিচালনা করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।