আপডেট: এপ্রিল ২৭, ২০২১
আপডেট নিউজ ॥ হঠাৎ করেই তরমুজ নিয়ে সারা দেশে সরগরম শুরু হয়েছে। গরমের রসালো এই ফল কেজি দরে বিক্রি শুরু হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুরু হয় অভিযান পরিচালনা। করা হয় জেল জরিমানা। বাদ যায়নি বরিশালও। শুরুর দিকে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু হলেও বর্তমানে তীব্র গরমে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজী দরে। কৃষকের কাছ থেকে পিচ অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে তরমুজের ক্ষেত মুলে পাইকাররা ক্রয় করা এই ফলটি কেজি দরে বিক্রি করাকে অবৈধ হিসাবে গন্য করেছে বরিশাল প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে প্রায় অর্ধশত ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। সাধারন মানুষ তথা গ্রাহকদের পক্ষ থেকে দাবী উঠেছে কেজি দরে পন্যটি বিক্রি বন্ধ করার। এমন অবস্থায় বরিশাল জেলা প্রশাসক বললেন মানুষের দাবীর প্রেক্ষিতে কাল থেকে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি বন্ধ ঘোষনা করা হবে।
তথ্য মতে মার্চ মাসে বাজারে তরমুজ আসতে শুরু করলেও এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে বাজারে ফলটির ব্যাপকতা বৃদ্ধি পায়। এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটে বরিশালের পাইকারী আড়দ পোর্ট রোডে শুরু হয় কেজি দরে বিক্রির চর্চা শুরু হয়। ধীরে ধীরে তা খুচরা পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়ে। শুরুর দিকে ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও গরমের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে ৬০ টাকা পর্যন্ত কেজি বিক্রি করা হয় ফলটি। এমন পরিস্থিতিতে সাধারন ক্রেতাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। কেজি দরে তরমুজ বিক্রির প্রতিবাদ জানান বরিশালের সর্ব স্তরের ক্রেতারা। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও শুরু হয় অভিযান। আর্থিক জরিমানা করা হয় বেশ কয়েক জন ব্যবসায়ীকে। কিন্তু তারপরও থেমে নেই চড়া দামে কেজি দরে বিক্রি।
এমন অবস্থায় প্রশাসানের কাছে ক্রেতাদের পক্ষ থেকে দাবী উঠেছে ঘোষনা দিয়ে কেজি দরে পন্যটি বিক্রি বন্ধ করা হোক।
এমন দাবীর প্রেক্ষিতে বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন আমার কাছে তরমুজ বিক্রি নিয়ে কয়েক ধরনের দাবী এসেছে। অনেকে বলছে কেজি দরে বিক্রি করলে সমস্যা নেই যদি ন্যায্য ধরে বিক্রি করা হয়। অনেকে বলেছে কেজি দরে সস্পূর্ন ভাবে বন্ধ করা হোক কারন কোন পাইকারই কৃষকদের কাছ থেকে কেজি দরে তরমুজ ক্রয় করে না। তাহলে কেজি হিসাবে বিক্রি কেন হবে? ক্রেতারা তিনি বলেন ত্রেতাদের স্বার্থ আগে দেখতে হবে। সব কিছু বিবেচনায় কাল থেকে কেজি দরে বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হবে। ম্যাজিষ্ট্রেটরা মাছ পর্যায়ে সে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে।
বরিশালের বিভিন্ন উপজেলায় কৃষক পর্যায়ে খবর নিয়ে জানা গেছে বড় (মান) সাইজের অর্থ্যাৎ ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের তরমুজের শ’ বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ১৯ হাজার টাকায়। আর মাজারী ও ছোট সাইজের তরমুজের দাম অনেকটা পানির দরে বিক্রি হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে ক্ষেত মুলেও বিক্রি করা হচ্ছে। তাতে মাঝারি সাইজের তরমুজের দাম ৫০ টাকার মধ্যেই ক্রয় করছে পাইকাররা। আর ছোট সাইজের ক্ষেত্রে দরের কোন মূল্যায়নই করা হচ্ছে না।