২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

জীবননগরের সন্তোষপুরে ক্যাপসিকাম ফসলের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

আপডেট: নভেম্বর ২৭, ২০২৩

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান

যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত ক্যাপসিকাম ফসল প্রদর্শনীর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৭শে নভেম্বর ২০২৩ খ্রি.) বিকেলে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুরে কৃষক জাহিদুল ইসলামের ভাই ভাই কৃষি প্রজেক্টে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

জীবননগর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে মাঠ দিবস অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন একতারপুর জামে মসজিদের খতিব আবু বকর সিদ্দিক। উথলী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান নয়নের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান।

এ সময় তিনি বলেন, ‘ক্যাপসিকাম মূলত শীত প্রধান দেশে হয়। এটা শীতকালীন ফসল। তবে এটা এখন আমাদের দেশেও চাষ হচ্ছে। ক্যাপসিকাম কয়েক জাতের হয়। তার মধ্যে সবুজ জাতের ক্যাপসিকাম মানবদেহে ইনসুলিন তৈরিতে সর্বাধিক ভূমিকা রাখে। এ কারণে দেশে ক্যাপসিকামের চাহিদা এখন অনেক বেশি। চুয়াডাঙ্গায়ও রয়েছে ক্যাপসিকামের ব্যাপক চাহিদা। আগামীর কৃষি হচ্ছে এ রকম নতুন নতুন ফসলের কৃষি। জীবননগর এলাকাসহ চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, যশোর, ঝিনাইদহ জেলা হলো কৃষির মাতৃভূমি। এখানকার কৃষকরা যেমন উন্নত তেমনিভাবেই এসব অঞ্চলে সম্প্রসারণ হচ্ছে বিভিন্ন ফসলের নতুন জাত। ক্যাপসিকাম, লেটুস, রামবুটানসহ অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তির ফসল কিন্তু এখন জীবননগর উপজেলাতেও চাষ হচ্ছে। এসব ফসল আপনাদের দেখানোর জন্যই এই মাঠ দিবস।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিজামুল হক, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুব বিন সাদেক এবং কৃষক জাহিদুল ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক রাসেল হোসেন মুন্না, হাসান আহম্মেদ, এম.এইচ.সম্রাট, আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং এলাকার কৃষান-কৃষানি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোরশেদ বিল্লাল।

উল্লেখ্য, ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ সারা বিশ্বেই একটি জনপ্রিয় সবজি। বাংলাদেশেও এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ভাই ভাই কৃষি প্রজেক্টের স্বত্বাধিকারী জাহিদুল ইসলাম বরাবরই নিত্যনতুন ফসলের চাষ করে থাকেন। এবার তিনি তার কৃষি প্রজেক্টে ১০ শতক জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। এছাড়া তার কৃষি প্রজেক্টে বারি টম্যাটো, পেয়াজ, রসুন, এলাচ, আদাসহ বিভিন্ন মসলা জাতীয় ফসল রয়েছে।

প্রতিবেদক: আমিনুর রহমান নয়ন, স্টাফ রিপোর্টার। 

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network