১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার

খয়রাবাদ কামারপাড়া টুং টাং শব্দে মুখরিত!

আপডেট: জুন ১৪, ২০২৪

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

অলিউল্লাহ খান:: দিন-রাত টুং টাং শব্দে মুখরিত হচ্ছে বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী খয়রাবাদ কামারপাড়া। কামার পল্লীতে এখন রাত-দিন চলছে টুং টাং শব্দ। কোরবানির ঈদের সময় যতোই ঘনিয়ে আসছে, ততোই বাড়ছে কামারদের ব্যস্ততা।কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। বছরের অন্য সময় গুলোতে কাজের তেমন চাপ না থাকলেও কোরবানির সময় যেন দম ফেলার ফুরসৎ নেই তাদের। তবে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবারে সরঞ্জামের দাম বেশি হওয়ায় কিছুটা বিপাকে পড়েছেন কামাররা।

পশু কোরবানির দা, ছুরি ও চাপাতিসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে মানুষ ভিড় করছেন কামারপাড়ায়। আবার কেউ কেউ পুরোনো সরঞ্জাম মেরামত অথবা শান দিয়ে নিচ্ছেন।প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব, আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প। পাশাপাশি কয়লা আর কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভের পরিমাণ কমেছে বলেও জানান অনেকে। বর্তমান আধুনিক যন্ত্রাংশের প্রভাবে কামার শিল্পের দুর্দিন চললেও পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে এ শিল্প।

খয়রাবাদ কামার পল্লীরা জানান, বছরের অন্যান্য দিনগুলোতে তেমন কাজ আসে না। কিন্তু কোরবানির ঈদ এলে কাজের চাপ বেড়ে যায়।কারিগররা জানান, কাঁচা-পাকা লোহা দিয়ে তৈরি করা হয় ধাতব যন্ত্রপাতি। তবে পাকা লোহার দা-ছুরির চাহিদা সবসময়ই বেশি থাকে এবং বেশি দামে বিক্রি হয়ে থাকে।

বিক্রেতারা জানান, দা আকৃতি ও লোহা ভেদে ১শ থেকে ৪শ ৫০ টাকা, ছুরি ৫০ থেকে ৩শ টাকা, চাকু প্রতিটি সর্বোচ্চ ৫০ টাকা, হাড় কোপানোর চাপাতি প্রতিটি ২শ থেকে ৪শ টাকা এবং ধার করার স্টিল প্রতিটি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। পুরোনো যন্ত্রপাতি শান দিতে বা পানি দিতে ১শ ৫০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। কয়লা ও কাঁচামালের দাম সহনীয় রেখে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা কামারদের।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network