১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

জীবননগরে বিলের কচুরিপানার মধ্য থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির গলিত মরদেহ উদ্ধার

আপডেট: অক্টোবর ২৬, ২০২৪

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

ছবি: আপডেট নিউজ বিডি টোয়েন্টিফোর 

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে বিলের পানির কচুরিপানার মধ্য থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৬শে অক্টোবর ২০২৪) দুপুরে উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের মেদিনীপুর গ্রামের ঘাড়কাঠি নামক মাঠের বিল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহের ৯০ শতাংশ পচে-গলে যাওয়ায় প্রাথমিকভাবে নিহতের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাযনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে মরদেহটি জীবননগর পৌর কিন্ডারগার্টেন স্কুলের নিখোঁজ সহকারী শিক্ষক সুজন আলীর (৩০)।

স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেদিনীপুর গ্রামের শাহেদ বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তি বিলে কচুরিপানা কাটার জন্য গিয়েছিলেন। তিনি কচুরিপানা কাটার সময় কঙ্কাল দেখে স্থানীয়দের খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ভিড় জমে। পরে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কঙ্কাল উদ্ধার করেন জীবননগর থানা পুলিশ।

সীমান্ত ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুস সবুর বলেন, ‘সুজন আলী আমার আপন ছোট ভাই। সে জীবননগর পৌর কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক ছিল। গত ৬ই অক্টোবর সন্ধ্যায় জীবননগর পৌর এলাকার গোপালনগরের ভাড়া বাসা থেকে সে নিখোঁজ হয়। আমার ভাই কয়েক বছর আগে ফুটবল খেলার সময় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিল। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর বাম হাতে সার্জিক্যাল রড প্রবেশ করানো হয়। তার শরীরে থাকা সার্জিক্যাল রড দেখে বুঝতে পারছি লাশটি আমার ভাই সুজন আলীর।’ একই কথা বলেন সুজন আলীর বোন খালেদা।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, এলাকাবাসীর সংবাদের ভিত্তিতে মেদিনীপুর ঘাড়কাঠি নামক বিলের কচুরিপানার ভিতর থেকে শনিবার দুপুরে অজ্ঞাত একজনের গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ দেখে শনাক্ত করার কোনো উপায় নেই যে মরদেহটি কার। মরদেহের বাম হাতে থাকা সার্জিক্যাল রড দেখে পরিবারের সদস্যরা ধারণা করছেন মরদেহটি নিখোঁজ শিক্ষক সুজন আলীর। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ও মরদেহটি শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

আমিনুর রহমান নয়ন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network