আপডেট: এপ্রিল ৯, ২০২০
আন্তর্জাতিক: নভেল করোনা ভাইরাসে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। বুধবার রাত পর্যন্ত একদিনে রেকর্ড মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দেশটিতে। এদিন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মারা যায় ৩২ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেঁড়ে হয়েছে ১৪৯ জন।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, ভারতে এত অল্প সময়ে করোনায় এত মৃত্যু এই প্রথম। নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৭৭৩ জন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য দেয়।
এদিকে আক্রান্তদের একটি নির্দিষ্ট গণ্ডিতে আটকে রাখতে ‘ক্লাস্টার নিয়ন্ত্রণ’ নীতি করেছে মোদি সরকার। সংক্রমণ রোধে রাজ্যগুলোর সঙ্গে একযোগে বিভিন্ন ‘হটস্পটে’ কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল বলেন, “আগামী কয়েক দিনে আমাদের মূল লক্ষ্য, সংক্রমিতদের সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন, তাদের খুঁজে বার করা। কারণ, একজন আক্রান্ত ব্যক্তিও যদি স্বাস্থ্য সেবার অধীনে না আসেন, তা হলে এত দিনের লড়াই ব্যর্থ হয়ে যাবে।”
আগরওয়াল জানান, পুনে সেন্ট্রাল এলাকা ও মুম্বাইয়ের কোলবা এলাকায় ঘরে-ঘরে গিয়ে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। সমীক্ষা চলছে, দিল্লির নিজামুদ্দিন ও দিলশাদ গার্ডেন এলাকাতেও। এই ‘হটস্পট’ গুলোর ৩৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকার প্রত্যেক বাসিন্দাকে নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা হচ্ছে, সেখানে কারও সাম্প্রতিক সফরের বা করোনা-আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার নজির রয়েছে কি না।
রক্তচাপ বা কিডনির সমস্যার মতো ‘ক্রনিক’ রোগ যাদের রয়েছে, তাদের উপরে আলাদা নজর রাখা হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইনে এবং আইসোলেশনে থাকাদের উপরে প্রযুক্তির সাহায্যে নজর রাখা ছাড়াও তাদের অবসাদে ভোগা রুখতে মনোবিদদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে গত রাত থেকে উত্তরপ্রদেশের ১৫টি জেলার ১০৪টি ‘হটস্পট’ এবং দিল্লির ২০টি হটস্পট সিল করে দেওয়া হচ্ছে। মূলত পূর্ব দিল্লি এবং তার সংলগ্ন গৌতম বুদ্ধ নগর ও গাজিয়াবাদ ছাড়াও মেরঠ, লখনউ, কানপুর, বরাণসী, শামলি, বুলন্দশহর, ফিরোজাবাদ, সীতাপুরের মতো জেলায় গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ‘হটস্পট’ এলাকায় সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। দোকানের লোক ঘরে জিনিস পৌঁছে দেবে। অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বেরোনো রুখতে রাজ্যগুলোকে পুলিশি পাহারা বাড়াতে বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দিল্লি, জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে মাস্ক পরাও বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
এ ছাড়া করোনা-আক্রান্ত বা আক্রান্ত সন্দেহে কাউকে মারধর, চিকিৎসক ও নার্সদের বাড়ি-ছাড়া করার মতো ঘটনা রুখতে একটি নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে। কেউ এই ধরনের ভুল প্রচার চালালে রাজ্যগুলোকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।