আপডেট: মার্চ ১৯, ২০২২
আপডেট নিউজ ডেস্ক:: কেশভ মহারাজ আউট হতেই ইতিহাস লেখা হলো বাংলাদেশের নামে। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রোটিয়াদের বিপক্ষে অধরা জয়ের আক্ষেপ ঘুচলো বাংলাদেশ দলের। এর আগে সেখানে খেলা দ্বিপাক্ষিক সিরিজে কোনো ম্যাচই জেতেনি টাইগাররা। তিন ফরম্যাটে ১৯ ম্যাচ খেলে পরাজয় সবকটিতে। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে খেলা ১৪ ওয়ানডের কোনোটিতেই জয়ের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ দল। সেই আক্ষেপ ঘুচলো এবার। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৮ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
নিজেদের ঘরের মাঠে খেলা সবশেষ সিরিজে ভারতকে নাস্তানাবুদ করে প্রোটিয়ারা। ৩ ম্যাচ সিরিজ জেতে ৩-০ ব্যবধানে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজেও ফেভারিট দলটির নাম দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে মাঠের ক্রিকেট যে আর পরিসংখ্যানের অঙ্কে মেলে না। সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ৩১৩ রানের বিশাল সংগ্রহ জমা করে বাংলাদেশ দল। ৩১৪ রানের টার্গেট টপকাতে নেমে ২৭৬ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। এতে ৩৮ রানের জয়ের সঙ্গে আইসিসি সুপার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ১০ পয়েন্ট পেল টাইগাররা।৩১৪ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। টাইগার পেসারদের বোলিং তোপে পাওয়ার প্লেতে খেই হারিসে বসে স্বাগতিকরা। যদিও স্পিনার সাকিব আল হাসানের হাতে প্রথম বল তুলে দেন সফরকারী অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তবে সফলতা এসেছে পেসারদের হাত ধরেই। ইনিংসে চতুর্থ ওভারেই আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। ফেরান ওপেনার মালানকে। উইকেটের পিছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১০ বলে ৪ রান করেন তিনি।
প্রোটিয়ারা সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই স্বাগতিক শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের নমব ওভারের প্রথম ও চতুর্থ বলে ফিরিয়ে দেন কাইল ভেরেইনা ও এইডেন মারর্কামকে। চমৎকার এক ডেলিভারির লাইনে যেতে পারেননি ভেরেইনা। আম্পায়ার এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদনে সাড়া দিলে রিভিউ না নিয়েই ফেরেন তিনি। করেন ২৫ বলে ২১ রান। দুই বল পর ড্রাইভ করার চেষ্টায় পয়েন্টে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ধরা পড়েন মারর্কাম। ৩ বল খেলে তিনি খুলতে পারেননি রানের খাতা।
৩৬ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা আর মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ভ্যান ডার ডুসেন। দেখেশুনে খেলে চতুর্থ উইকেটে দুই জন যোগ করেন ৮৫ রান। এই পার্টনারশিপ যখন বিপদের ইঙ্গিত দিতে থাকে, তখন বাভুমাকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন শরিফুল। বাড়তি বাউন্স করা বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি বাভুমা। বল তার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে মুশফিকের গ্লাভেস। ৫৫ বলে ২টি চারের সাহায্যে ৩১ রান করেন বাভুমা।