২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে বিতর্কে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

আপডেট নিউজ: এলাকার নিরিহ যুবকদের বিনাকারণে থানার দুইজন দারোগা আটক করে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে ইয়াবা ও গাঁজা হাতে ধরিয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করছেন। পরবর্তীতে মামলার ভয় দেখিয়ে ওই দুই দারোগার বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকা আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার। আর অভিযুক্ত দুই দারোগা হলেন-ওই থানার এএসআই আহসাব ও এএসআই মামুন। ভূক্তভোগী বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নূর হোসেন খানের ছেলে লুৎফর রহমান জীবন অভিযোগ করেন, শুক্রবার দিবাগত রাতে স্থানীয় যুব সমাজের আয়োজনে বনভোজনের আয়োজন করা হয়। তিনি পরিবারের সবাইকে নিয়ে ওই বনভোজন অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে অনুষ্ঠানস্থল দিঘিরপাড় নামক স্থানের সড়কের পাশে বাইসাইকেল রাখতে গেলে দারোগা আহসাব ও মামুন তাকে হ্যান্ডক্যাফ পরিয়ে বেধরক মারধর করে। এসময় থানার আরো দুইজন কনস্টেবল উপস্থিত ছিলেন।

জীবন খান আরো বলেন, অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় সাউন্ডবক্সের উচ্চস্বরে গান বাঁজতে থাকায় তার চিৎকার কেউ শুনতে পায়নি। তাকে মারধরের একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ইয়াবা ও গাঁজা দিয়ে চালান দেয়ার হুমকি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে হ্যান্ডক্যাফ পরানো অবস্থায় তাকে (জীবন) ফোনের মাধ্যমে স্বজনদের কাছ থেকে টাকা আনতে বাধ্য করা হয়। পরে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এরপূর্বে প্রায় তিন মাস আগেও থানার ওই দুই দারোগা কৌশলে জীবন খানকে ডেকে নিয়ে হ্যান্ডক্যাফ পরিয়ে মারধর করেন। ওইসময়ও ইয়াবা সেবনের একটি পাইপ ও কিছু প্লাস্টিক বোতলের কর্ক হাতে ধরিয়ে ভিডিও ধারণের পর ভয়ভীতি দেখিয়ে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়।
পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোসলেম আকনের ছেলে রিয়াজ আকন অভিযোগ করেন, অতিসম্প্রতি সন্ধ্যা রাতে তার ছোট ভাই সাকিব আকনকে চৌমাথা নামক এলাকায় বসে আটক করে হাতে গাঁজা ধরিয়ে মোবাইল ফোনে ছবি তোলেন এএসআই মামুন। পরবর্তীতে সাকিবকে মামলায় জড়িয়ে জেলহাজতে পাঠানোর ভয় দেখিয়ে তাকে (রিয়াজ) ফোন করে ডেকে নেয় ওই দারোগা। একপর্যায়ে দারোগার দাবিকৃত অর্থের মধ্যে সাত হাজার টাকা দিয়ে সাকিবকে ছাড়িয়ে আনা হয়। তিনি (রিয়াজ) অভিযুক্ত থানার এএসআইদের হয়রানী থেকে নিরিহ যুবকদের বাঁচাতে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তা কামনা করেছেন।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে অভিযুক্ত এএসআই মামুন মোবাইল ফোনে এ ব্যাপারে কোন ধরনের কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করে সাক্ষাতে কথা শোনার জন্য অনুরোধ করেন।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান বলেন, যদি থানার কোনো পুলিশ সদস্য অপকর্ম ও চাঁদাবাজি করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তদের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network