আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪
ছবি: আপডেট নিউজ বিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
পূর্বের তুলনায় অনেক আধুনিক হয়েছে দেশের রেল যোগাযোগ। নতুন নতুন ট্রেন চালু ও রুট পরিবর্তনের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বেড়েছে গতি, যাত্রীদের মাঝে ফিরেছে আস্থা। রেলপথ উন্নত হওয়ায় কমতে শুরু করেছে ট্রেনের বিলম্ব। তবে আন্তঃনগর ট্রেন উন্নত হলেও পরিবর্তন আসেনি দেশের মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেনে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে মূলত পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে বিভক্ত। পশ্চিমাঞ্চলের সদর দপ্তর রাজশাহীতে, আর পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর শিল্পনগরী চট্টগ্রামে। সম্প্রতি পূর্বাঞ্চলের আওতায় ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে নতুন দুটি ননস্টপ ট্রেন চালু করা হয়েছে। যার একটি কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও অপরটি পর্যটক এক্সপ্রেস। অল্প খরচে যাতায়াতের জন্য কিছুদিনের মধ্যেই ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চালু করা হবে মেইল/কমিউটার ট্রেন। ট্রেনটি চালু হলে ২০০ টাকার মধ্যে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়া যাবে। এছাড়া চালুর অপেক্ষায় পাবনা-ঢাকা রুটের নতুন ট্রেন। যশোর-খুলনা-মোংলা রুটে চালু হবে তিন জোড়া কমিউটার ট্রেন। এছাড়া রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ঢাকায় যাতায়াত করছে পশ্চিমাঞ্চলের আওতাধীন সুন্দরবন, বেনাপোল ও মধুমতি এক্সপ্রেস। সেইসাথে দেশের প্রথম কমিউটার ট্রেন হিসেবে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে সরাসরি ঢাকায় প্রবেশ করছে নকশিকাঁথা কমিউটার। ট্রেনটিতে করে প্রায় সঠিক সময়ে অল্প খরচে যাতায়াত করতে পারছেন যাত্রীরা। তবে যশোর-নড়াইল-ঢাকা রেলপথের কাজ শেষ হলে যশোর ও খুলনা এলাকার যাত্রীরা বর্তমান সময়ের অর্ধেকেরও কম সময়ে ঢাকায় যেতে পারবেন।
যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরও গতি আনতে দেশের প্রথম রেলস্টেশন দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে আন্তঃনগর ও কমিউটার ট্রেন চালু এখন সময়ের দাবি। সেইসাথে বন্ধ রেলস্টেশনগুলোও পুনরায় চালু করা দরকার। শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হবে টিকিট কালোবাজারি। সিঙ্গেল লাইনের যুগ থেকে বেরিয়ে এসে বাড়াতে হবে ডাবল লাইন। কমিয়ে আনতে হবে দূরপাল্লার ট্রেনের স্টপেজ সংখ্যা। ঢাকার ট্রেনের পাশাপাশি গুরুত্ব দিতে হবে অন্যান্য রুটের ট্রেনের। মেইল, কমিউটার ও লোকাল ট্রেনের বিলম্ব কমাতে নিতে হবে কার্যকরি পদক্ষেপ। বাড়াতে হবে কোচের সংখ্যা। বিলম্ব কমাতে দূরপাল্লার ট্রেনগুলোর জন্য রাখতে হবে বিকল্প রেকের ব্যবস্থা।
আমিনুর রহমান নয়ন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।