২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

মেয়েকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা, ঘটনাস্থলে পড়েছিল কেক ও কোমলপানীয়

আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২৪

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

আপডেট নিউজ বিডি টোয়েন্টিফোর

যশোরে ১২ বছর বয়সী কন্যা সন্তানকে নিয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক নারী। সোমবার (২৫শে মার্চ ২০২৪) দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার চুড়ামনকাঠি রেলস্টেশনের অদূরে পোলতাডাঙ্গা শ্মশানঘাট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত লাকি বেগম (৩৫) সদর উপজেলার বড়হৈবতপুর গ্রামের মোকছেদ আলীর মেয়ে। তাঁর মেয়ের নাম সামিয়া আক্তার মিম (১২)। তাঁরা মা ও মেয়ে সাতমাইল বাজারে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুরে লাকি বেগম তাঁর মেয়ে মিমকে নিয়ে রেললাইনের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এসময় বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ৭৯৫ আপ বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন আসামাত্রই মেয়ের হাত ধরে টেনে হিঁচড়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন তিনি। এতে তাদের শরীর বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে তাঁরা গিয়ে দেখতে পান রেললাইনের পাশে একটি প্যাকেটে অর্ধেক খাওয়া জন্মদিনের কেক, কোমল পানীয় ও তাদের একটি ব্যাগ রয়েছে।

ব্যাগে থাকা মোবাইল বের করে স্বজনদের দুর্ঘটনার সংবাদ জানানো হয়। খবর পেয়ে ওই নারীর বোন ও বোনজামাই ঘটনাস্থলে আসেন। আত্মহত্যার আগে মেয়েকে ভুলিয়ে রাখতে ওই নারী জন্মদিনের কেক ও কোমল পানীয় কিনেছিলেন। কিন্তু সেগুলো খেতে খেতেই মেয়েকে জোরপূর্বক টেনে হিঁচড়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন ওই নারী।

নিহতের বোন রোজিনা বেগম বলেন, ‘১০ বছর আগে আমার বোনের সঙ্গে স্বামী কবীর আলীর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর ছোটহৈবতপুর গ্রামের বাসিন্দা এজাজুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বছরখানেক আগে তার সঙ্গেও ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে বড় বোন তার একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করছিলেন। আপা প্রায়ই আত্মহত্যার কথা বলতেন।’

আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা না গেলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, একাকীত্ব ও অভাবের কারণেই লাকি বেগম তার মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ। পরবর্তী ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আমিনুর রহমান নয়ন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network