আপডেট: অক্টোবর ১০, ২০২৫
ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি: পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় মাদরাসা সুপারের অনিয়মের ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে। জানা যায় উপজেলার নদমুলা শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের নদমূলা দাখিল মাদ্রাসায় ইবতেদায়ী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ ওঠায় পরীক্ষাটি বন্ধ ঘোষণা করেছেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বেনজির হোসেন।
সরেজমিনে জানা যায়, আজ শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় নদমুলা দাখিল মাদ্রাসায় ইবতেদায়ী প্রধান পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পূর্বে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৮ জন প্রার্থী আবেদন করেন এবং বাছাই কমিটি সকল আবেদনকারীকে বৈধ ঘোষণা করে।
অভিযোগ রয়েছে, মাদ্রাসার সুপার মো. ওয়ালিউর রহমান প্রথমে একজন প্রার্থীর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে নিয়োগের আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে অন্য এক প্রার্থীর কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের পর আগের প্রার্থীর কাছ থেকে নেয়া টাকা ফেরত দেন এবং ঐ প্রার্থীসহ তিনজন বৈধ প্রার্থীকে সাক্ষাৎকার পত্র ইস্যু না করে তাদেরকে বাদ দেন। অন্যদিকে সুপারের দলীয় ঘনিষ্ঠ ৫ জন প্রার্থীর নামে সাক্ষাৎকারপত্র ইস্যু করে নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় জনগণ ও ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজন সদস্য নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবি জানান। এক পর্যায়ে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বেনজির হোসেন ঘটনাস্থলে এসে মৌখিক নির্দেশে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুপার ওয়ালিউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগের বিষয়ে কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি খন্দকার রেজাউল করিম বলেন, “আমি শারীরিক অসুস্থতার কারণে ঢাকায় ছিলাম। সুপারের অনিয়মের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।”
এলাকাবাসী জানান, সুপার ওয়ালিউর রহমান অতীতেও মাদ্রাসায় একাধিক নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে জড়িত ছিলেন। তারা দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত ও অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।