আপডেট: অক্টোবর ১১, ২০২৫
ছবি: আপডেট নিউজ বিডি টোয়েন্টিফোর
জীবননগরের উথলীতে গরু ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত আপন দুই ভাই আনোয়ার হোসেন মিন্টা ও হামজার পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু।
শনিবার (১১ই অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি নিহতদের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন এবং সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন। নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘অপরাধীদের কোনো দল নাই। নিহতদের পরিবারকে ন্যায় বিচারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ন্যায় বিচার পেতে দলের কেউ যদি বাধা সৃষ্টি করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএনপির কেউ যদি এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি শান্তিপ্রিয় দল, জনগণের দল। এখানে কোনো দুষ্কৃতকারী, সন্ত্রাসীদের জায়গা নাই।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, উথলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন জাহিদ, উথলী ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক খোকন, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন, ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক নাজমুল হুসাইন, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি অমিত খান, সাধারণ সম্পাদক রানা হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি আল আমিন হোসেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মী।
উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর সকালে উথলী গ্রামের ওরশতলা মাঠে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গেলে পূর্ববিরোধের জেরে আপন দুই ভাই আনোয়ার হোসেন মিন্টা ও হামজাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত আনোয়ার হোসেন মিন্টার মেয়ে রোকসানা আক্তার বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে গত ২২ সেপ্টেম্বর জীবননগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত দুই ভাইয়ের পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেওয়ার পর তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বৃহত্তর উথলী ইউনিয়নে পানির তীব্র স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজসমূহ পরিদর্শন করেন।
আমিনুর রহমান নয়ন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।