আপডেট: অক্টোবর ৫, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক।। সারা দেশের ইউনিয়ন জনসভার অংশ হিসেবে ভোলার লালমোহন সদর ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাকের পার্টির নির্বাচনী জনসভা ও সমাবেশ, যেখানে পার্টির ২৯ নভেম্বর সরোওয়ার্দী উদ্যানে নির্ধারিত মহাসমাবেশে অংশগ্রহণের দাওয়াত জানানো হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জাকের পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ওলামা ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং নব নির্বাচিত ভোলা জেলা সভাপতি হাফেজ মাওঃ মুফতি মাসুম বিল্লাহ।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাকের পার্টি ভোলা জেলার সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক আলমগীর গোলদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্র ফ্রন্ট সভাপতি মোঃ ইমরান খান রাজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যুব-স্বেচ্ছাসেবক ফ্রন্টের সহ-সভাপতি মোঃ রাব্বী হাচান, প্রচার সম্পাদক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা, যুব ফ্রন্ট জেলার সভাপতি সোহরাব হোসেন, যুব-স্বেচ্ছাসেবক ফ্রন্টের সহ-সভাপতি মোঃ মিরাজ শরীফ, লালমোহন উপজেলা যুব-স্বেচ্ছাসেবক ফ্রন্টের সভাপতি দ্বীন ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আঃ রহিম এবং উপজেলা সভাপতি মোঃ আবুল কালাম প্রমুখ। ভোলা-৩ লালমোহন ও তজুমদ্দিন আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আহসানুল হক মমিনও সভায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠানটি শুরু হয় বিশ্বওলীর রওজা শরীফ জিয়ারত ও কোরআন তেলোয়াত দিয়ে এবং মিলাদ-কিয়াম, মোনাজাত ও তবারক বিতরণে শেষ হয়। সমাবেশে মিছিল ও জনসভার মাধ্যমে পার্টি নেতারা এবং এলাকার হাজারো শান্তিপ্রিয় নাগরিক অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে বক্তারা বর্তমান নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ভোটার নিরাপত্তা ও ফলাফল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ব্লকচেইনভিত্তিক ই-ভোটিং সিস্টেম গ্রহণের দাবি জানান। অনুষ্ঠানে বলা হয়, চলমান ব্যালট পদ্ধতিতে ভোটপেপার ও ব্যালটবক্স চুরি, কেন্দ্র দখল এবং প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ফলাফল পরিবর্তনের ঘটনা ঘটে — এমনকি ভোটারদের নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে পড়ে। তারা যুক্তি দেন যে ব্লকচেইনভিত্তিক ই-ভোটিং এলে এসব অনাকাংক্ষিত ও সহিংস ঘটনা কমবে এবং ভোট প্রদান হবে দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরাপদভাবে।
প্রধান অতিথি ও উপস্থিত নেতারা একই সঙ্গে জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি, স্থানীয় সংগঠন সক্রিয়করণ ও আগামী কেন্দ্রীয় সমাবেশে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বানও জানান। সমাবেশে অংশ নেয়া স্থানীয় নাগরিকরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের সমর্থন প্রদর্শন করেন এবং ই-ভোটিং নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সর্বশেষে জনসভার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সমাবেশে অধিক সংখ্যক সংগঠিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।