আপডেট: অক্টোবর ১৬, ২০২৫
ছবি: আপডেট নিউজ বিডি টোয়েন্টিফোর
চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত স্পিরিট পানে ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ১১৭ বোতল মেয়াদোত্তীর্ণ স্পিরিট। গ্রেফতার দুজন হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর থানার খেজুরা গ্রামের মৃত বাকি শেখের ছেলে জুমাত আলী (৪৬) এবং ঝিনাইদহ সদর থানার রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের মৃত পুটি মণ্ডলের ছেলে ফারুক আহমেদ ওরফে অ্যালকো ফারুক (৪০)।
পুলিশ জানায়, গত ১০ই অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ডিঙ্গেদহ বাজারে জমির হোসেনের আড়তের উত্তর পাশে বসে নেশাদ্রব্য বিষাক্ত স্পিরিট পান করেন শংকরচন্দ্র গ্রামের মৃত সামসের আলীর ছেলে লাল্টু মিয়া (৪৮), নবিছদ্দিনের ছেলে শহীদ (৪৫), খেজুরা গ্রামের মৃত দাউদের ছেলে সেলিম (৩৮), পিরোজখালী গ্রামের নবীছদ্দিন কাশেমের ছেলে লাল্টু (৪২), নফরকান্দি গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে খেদের আলী (৫৫) এবং মানিকদিহি গ্রামের মৃত আবজেলের ছেলে ছমির হোসেন (৫৫)। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় ও তারিখে তারা মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় গত ১৩ই অক্টোবর মৃত লাল্টুর ছোট ভাই রাকিবুল ইসলাম বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা।
পুলিশ সুপারের নির্দেশে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, ডিবিসহ পুলিশের একাধিক টিম।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার জুমাত আলীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। এছাড়া আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফারুক আহমেদকে তার নিজ বাড়ি হতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকালে ফারুক আহমেদের হেফাজত হতে উদ্ধার করা হয় মেয়াদোত্তীর্ণ ১১৭ বোতল স্পিরিট।
নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ফারুক আহমেদ স্বীকার করেছেন যে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে (লাইসেন্সবিহীন) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার নামে মেয়াদোত্তীর্ণ স্পিরিট চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন এলাকায় হোমিও দোকান ও মাদকসেবীদের নিকট সরবরাহ করে আসছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আসামি ফারুক আহমেদের সরবরাহকৃত মেয়াদোত্তীর্ণ স্পিরিট পান করার ফলে উক্ত ভিকটিমরা বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
বিষাক্ত স্পিরিট পানে ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জামাল আল নাসের।
আমিনুর রহমান নয়ন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।