আপডেট: ডিসেম্বর ৮, ২০২৫
অনলাইন ডেস্ক:: কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৩ ‘মানবপাচারকারী’কে আটক করা হয়েছে। এ সময় পাচারের উদ্দেশে বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ ৭ জনকে উদ্ধার করা হয়।সোমবার (৮ ডিসেম্বর) কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।আটকরা হলেন টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া এলাকার আবদুর রহমান (৩২), হামিদ হোসেন (২৮) ও বড় ডেইল এলাকার হেলাল উদ্দীন (৩০)।
তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা সূত্র ও পূর্ববর্তী সময়ে আটক করা পাচারকারীদের দেওয়া তথ্যমতে জানা যায়, সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে নারী ও শিশুসহ বেশ কিছু সংখ্যক ব্যক্তিকে টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া সংলগ্ন গহিন পাহাড়ি এলাকায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কোস্ট গার্ড স্টেশন টেকনাফ ও আউটপোস্ট বাহারছড়া ওই এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে নারী ও শিশুসহ ৭ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। এসময় আভিযানিক দল ৩ জন মানবপাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে পাচারকারীদের দেওয়া তথ্যমতে তাদের গোপন আস্তনা থেকে ১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।’
উদ্ধারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কয়েকটি সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র বিদেশে উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন, উচ্চ বেতনের চাকরি এবং অল্প খরচে বিদেশ যাত্রার প্রলোভন দেখিয়ে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় গমনের জন্য উদ্বুদ্ধ করে সাগর পথে পাচারের পরিকল্পনা করছিল। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাচারের উদ্দেশে নিয়ে আসা ভুক্তভোগীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং তাদের আটকে রেখে নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করার চেষ্টা করছিল।তিনি আরও বলেন, ‘উদ্ধার ব্যক্তি, জব্দ আগ্নেয়াস্ত্র ও আটকদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মানবপাচাররোধে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।’

