১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

হাদি হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জীবননগরে বিক্ষোভ সমাবেশ

আপডেট: ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

ছবি: আপডেট নিউজ বিডি টোয়েন্টিফোর

জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সাহসী কণ্ঠস্বর, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সর্বদলীয় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৯শে ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর জীবননগর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জীবননগর উপজেলা খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আল মাহমুদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইখলাছুর রহমান রাসেল, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক সোহেল পারভেজ রাসেল, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী, জীবননগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সাব্বির হোসেন রিংকু, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন ফরহাদ প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদিকে বারবার হামলার হুমকি দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু সরকার তাকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। যদি প্রশাসন ও রাষ্ট্র জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের দায়িত্ব ছেড়ে জনগণের কাতারে নেমে আসা উচিত।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘হাদির ওপর হামলা কেবল ব্যক্তিগত নয়, এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিরুদ্ধে এক আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। হাদি ভাইয়ের শরীর থেকে যে রক্ত ঝরেছে তা বৃথা যাবে না।’

বিক্ষোভ সমাবেশ পরিচালনা করেন জীবননগর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোকছেদুর রহমান রিমন।

উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত ১২ই ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় পিছন থেকে দুজন মোটরসাইকেলযোগে এসে হাদির মাথায় গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন হওয়ায় গত সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে গোটা দেশ এখন শোকে স্তব্ধ।

তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা হাদিকে গুলিবর্ষণকারী হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা ফয়সাল করিম ওরফে দাউদ খানকে শনাক্ত করেছেন। তবে ওই আসামি ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে আলোচনা রয়েছে।

আমিনুর রহমান নয়ন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network