২৮শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

সরকার আসে, সরকার যায়: গাউয়াসার সড়কবাসীর দুঃখ যায়না

আপডেট: অক্টোবর ২৮, ২০২৫

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

আপডেট নিউজ : সরকার আসে, সরকার যায়,কাউন্সিলর আসে,কাউন্সিলর যায় কিন্তু দুই যুগের বেশি অতিবাহীত হলে ও বরিশাল নগরীর তিন নং ওর্য়াডস্থ গাউয়াসার প্রধান সড়কের সাথে থাকা একটি শাখা সড়ক আব্দুল কাদের লেনটি সংস্কার হয়নি।
সরোজমিনে খোজ নিয়ে ভূক্তভোগী বাসিন্ধাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, সড়কের দুই পাশের বাসিন্ধারা নিজেরা জমি দিয়ে রাস্তাটি প্রথম নির্মান করে প্রায় ২৫ বছর আগে। নিজেদের উদ্যোগে রাস্তাটির দুই পাশে গাইডওয়াল করে নিজেরা বালু খোয়া ফেলে কোন রকম চলাফেরা করছে।
ফলে অএ গলীতে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী পরিবার গুলোকে পোহাতে হচ্ছে চরম দূভোর্গ । তার মধ্যে দুটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার রয়েছে। অন্যদিকে প্রধান সড়ক থেকে রাস্তাটি প্রায় তিন ফুট নিচে হওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই সড়কটিতে হাটু পানি জমে থাকে ।
গরেিত একটি হাফেজি মাদ্রাসা রয়েছে। জলাবদ্ধতায় শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো স্কুল এবং মাদ্রাসায় যেতে পারে না এবং বয়ষস্করা নামাজে যেতে পারে না। নিয়মিত তারা হোল্ডিং টেক্স দিয়ে আসলে ও সিটিকর্পোরেশন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে ভূক্তভোগীরা বাসিন্দারা। দেখার যেনো কেউ নেই।
অত্র ওর্য়াডের কাউন্সিলর আলহাজ্জ¦ হাবিবুর রহমান ফারুক মৃধা বছরের পর বছর আস দিয়ে বিগত বছর পাড় করেছেন। বিগত দিনে দল ক্ষমতায় না থাকায় নিজের ব্যর্থতা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন আমার ওর্য়াডের সকল রাস্তার লিষ্ট সিটিকর্পোরেশনে দেয়া আছে। অচীরেই হয়ে যাবে আশা করছি।
গত বছর সিটিকর্পোরেশনে এ ব্যাপারে আবেদন করলে ৫ আগষ্টের সরকার পতনের পর সেই আবেদনের কোন খোজ পাওয়া যায়নি। বিসিসি থেকে পূন্যরায় আবেদন করতে বলল্লে পরে চলতি বছরের শুরুতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী আর একটি আবেদন করা হয় যার ডকেট নাম্বার ১৫৬০ । এতে বিসিসি থেকে ষ্টেমিটর এসে মাপজোপ করে যায়। সড়কটিতে ৭ ফিট সিসি ঢালাই রাস্তা এবং সাথে ৩ ফিট ড্রেন নির্মানের হিসাব দেয়া হয় এবং সে বাবদ ব্যয় ধরা হয় ৩৫ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭ শত ৪৬ টাকা। দীর্ঘ দিন অতিবাহীত হলে ও তা এখন অব্দি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। যোগাযোগ করলে অর্থ বরাদ্ধ নেই বলে সময়ক্ষেপন করা হয় ।
গলীর বাসিন্ধা হারুন অর রশিদ বলেন,জন্মলগ্ন থেকে রাস্তাটি কাচাঁ পড়ে আছে। বর্ষা মৌসুমে প্রত্যেকটি বাড়ি জলাবদ্ধতায় আটকে থাকে। আমরা এই দূভোর্গ থেকে পরিত্রান চাই।
বিসিসির সহকারী একাউন্স অফিসার আখতারুজ্জামান সবুজ জানান, প্রকৌশল শাখা থেকে আমাদের কাছে ফাইল চাইনি বলে ওভাবেই পড়ে আছে। এখন আমাদের হাতে কিছু নেই।অত্র ওর্য়াডের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশল শাখায় যোগাযোগ করুন।
বিসিসির প্রধান প্রকৌশলী মোঃ হুমায়ুন কবিরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে বলেন,আমার কাছে পেপারস আসলে সাধারনত আমি মার্ক করে দেই। আপনি নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল বাশারের সাথে যোগাযোগ করুন।
তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমাদের উর্ধ্বোতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
বিসিসির নিবার্হী প্রকৌশলী (ক অঞ্চল) মোঃ মকসুমুল হাকিম রেজা বলেন,হয়তো তালিকা তৈরী করা হয়েছে। আমি অফিসের বাহিরে অবস্থান করছি।তাই বলতে পারছিনা ।
বিসিসির প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল বারী ঢাকায় অবস্থান করায় তার সাক্ষাতকার নেয়া সম্ভব হয়নি।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
error: এই সাইটের নিউজ কপি বন্ধ !!
Website Design and Developed By Engineer BD Network