আপডেট: অক্টোবর ২১, ২০২৫
মিশু সিকদার, স্টাফ রিপোর্টার: বাউফল পৌর শহরের পাবলিক অনুমতিহীন ভাবে দখল করে মেলা আয়োজন করা হয়েছে। এ নিয়ে জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
বাউফলে কর্মরত এক সংবাদকর্মী মশিউর মিলন তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “বছরের নভেম্বর ডিসেম্বর মাস প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। এসময়ে জনবহুল এলাকায় মাসব্যাপী মেলার আয়োজন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। বাউফল পাবলিক মাঠে মাসব্যাপী মেলা আয়োজনের নিন্দা জানাচ্ছি।”
মো. ইমরান হোসেন নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী এই আয়োজনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে লেখেন, “খেলার মাঠ দখল করা ছাড়াও বাউফল পাবলিক মাঠের খুব কাছাকাছি কয়েকটা মসজিদ আছে, হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং কিন্ডারগার্ডেন আছে, এটা একটা আবাসিক এলাকা বলতে গেলে এক রকম এবং এছাড়াও সামনের ডিসেম্বর মাসে বিভিন্ন শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা, এই রকম একটা সময়ে মাসব্যাপী মেলার আয়োজন খুবই দুঃখজনক।”
স্থানীয়রা মেলা বন্ধের জন্য পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। যদিও পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের কাছে মেলার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, স্থানীয় একটি মহল বাউফল প্রেসক্লাবের ব্যানারে পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পাবলিক মাঠে মাসব্যাপী মেলার আয়োজন করেছে। ইতিমধ্যে মাঠজুড়ে মেলার অবকাঠামো নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে।
এই মাঠটি শহরের একমাত্র খেলার মাঠ। এখানে প্রতিদিন বিকেলে ফুটবল খেলা হতো, শিশুরা খেলাধুলা করত, আর সন্ধ্যার পর স্থানীয়রা হাঁটাচলা করতেন। মেলার অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হওয়ায় এসব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
এছাড়াও এই মাঠের চারপাশে রয়েছে আবাসিক বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, ক্লিনিক ও কিন্ডারগার্টেন স্কুল। এখানে মেলা বসলে পরিবেশ ও শব্দ দূষণ বাড়বে এবং একমাত্র সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে পাবলিক মাঠে এই মেলা বন্ধের দাবিতে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও মুসুল্লিরা পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন। এর আগেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একই বিষয়ে আবেদন করা হয়েছিল।
পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, “আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।”
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী বলেন, “আমি এ ধরনের কোনো মেলার অনুমতি দিইনি। এখনই স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলে দিচ্ছি।”