আপডেট: এপ্রিল ১৮, ২০২১
পটুয়াখালী প্রতিনিধি:: পটুয়াখালীর দুমকিতে ডায়রিয়ার প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক সপ্তাহে উপজেলায় ডায়েরিয়া আক্রান্তে এক শিশুসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে।
৩১ শয্যার উপজেলা হাসপাতালে বেড সংকট দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়ে রোগীদের মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ পর্যন্ত অন্তত দুই শতাধিক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিদিনই আসছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী। অপরদিকে হাসপাতালে ও বাইরে কলেরা স্যালাইনের মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। জরুরি প্রয়োজনেও স্যালাইনসহ পাওয়া যাচ্ছে না এমন অভিযোগ রোগীর স্বজনদের। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শহীদুল হাসান শাহীন স্যালাইন সংকটের সত্যতা স্বীকার করে জানান, ইনডেন দেওয়া হয়েছে। দু’একদিনে সংকট কেটে যাবে।
রোববার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া আক্রান্তে ভর্তি হওয়া জলিশা গ্রামের আ. হক মুন্সীর (৭০) মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ১১ মাস বয়সী আকিব খান নামের এক শিশুর ডায়রিয়ায় মৃত্যু ঘটে। এছাড়া হাসপাতালের বাইরে পাংগাশিয়া ইউনিয়নে অন্তত ২ জনের ডায়রিয়া আক্রান্তে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।এ বিষয়ে জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর শহীদুল হাসান শাহীন বলেন, গত কয়েক দিন যাবৎ ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগীর বেড সমস্যা, চিকিৎসা প্রদানসহ নানা বিষয় নিয়ে দিশেহারা অবস্থা।
স্যালাইন সংকটের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ সংকটের মধ্যে থেকেই আমরা ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করে যাচ্ছি। তিনি ডায়রিয়া আক্রান্ত হলে দ্রুত রোগীদের উপজেলা হাসপাতালে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যান্য ইউনিয়নে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব প্রশ্নের জবাবে বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকর্মী, পরিদর্শকরা সার্বক্ষণিক বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা ও পরামর্শ প্রদান করছেন। পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলে তারা রিপোর্ট করবেন। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনাক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।