আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫
ফরিদপুর প্রতিনিধি:: ফরিদপুরে বিউটি পার্লার থেকে নারী উদ্যোক্তা শান্তা ইসলামের (৩৩) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর শহরের অনাথের মোড় সংলগ্ন সাজের মায়া ভবনে শান্তা ইসলামের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ভেতরের একটি কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ফরিদপুরের কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শান্তা ইসলাম জেলা সদরের নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের কাইয়ূম উদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী নামক গ্রামের মৃত কানু মোল্যার মেয়ে।শহরের অনাথের মোড় এলাকায় সাজের মায়া ভবনের নিচতলায় ‘ইয়াং লাইফ বিউটি পার্লার ও লেজার সেন্টার’ নামে তার প্রতিষ্ঠানে ২০ জনের অধিক কর্মচারী রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের শাখা হিসেবে খুলনা, যশোর ও ঢাকায় মোট পাঁচটি পার্লার থাকার বিষয়টি জানা গেছে। বিগত কয়েকমাস আগে তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক নারীর অভিযোগে আলোচনায় এসেছিল শান্তা ইসলাম।
শান্তার ভাই রাজিব মোল্যা জানান, ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা এলাকার আকিদুল ইসলাম রুমন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে শান্তার বিয়ে হয়।পরে ২০২০ সালে তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার বোনের ১৩ বছর বয়সের একজন কন্যা সন্তান রয়েছে। তার নাম সারা ইসলাম। সে আজ ভোরে ফোন করে জানায়, শান্তা ইসলাম মারা গেছেন।পরে এসে দেখি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। আমার বোনের আর্থিক কোনো সমস্যাও ছিল না। গতকাল রাতেও মাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিল। রাত ১১টা পর্যন্ত আমরা তিন ভাই ও বোন সেখানে ছিলাম।
পার্লারের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সপ্তাহে দুই দিন প্রতিটি শাখায় অবস্থান করেন শান্তা।দুই দিন আগে ফরিদপুরের শাখায় আসেন এবং প্রতিষ্ঠানের শয়নকক্ষে রাত্রিযাপন করেন তিনি। ঘটনার দিন রাতে তার পাশের একটি কক্ষে ছিলেন লাভলী আক্তার (১৮) নামে এক নারী কর্মচারী। লাভলী আক্তার জানায়, রাত প্রায় তিনটা পর্যন্ত সাবেক স্বামী রুমনের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন ম্যাম। এক পর্যায়ে চিৎকার করে কথা বলতে থাকেন ম্যাম। আমি দৌড়ে গেলে আমাকে বের করে দিয়ে ভেতর থেকে রুম আটকিয়ে দেন। এরপর সকালে দেখি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে।
ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান বলেন, ‘শান্তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’