আপডেট: এপ্রিল ১১, ২০২৪
পটুয়াখালী প্রতিনিধি:: ঈদের দিনে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকতে হাজারো মানুষের বসেছে মিলনমেলা। বৃহস্পতিবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের উপস্থিতি বেড়ে যায়।
কেউ সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসাচ্ছে। কেউ কেউ বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছে সৈকতের বুকে আছড়ে পড়া ছোট বড় ঢেউ। কেউবা আবার ঘোড়া কিংবা মোটরসাইকেলে চড়ে ঘুরে দেখছে বিভিন্ন দর্শনীয় স্পট। এছাড়া অনেককেই মোবাইলে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা গেছে। এরা বেশির ভাগই স্থানীয় ও ঈদের লম্বা ছুটিতে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষ। আগত নিরাপত্তায় ট্যুরিষ্ট পুলিশের তৎপরতা লক্ষ করা গেছে। শুক্রবার থেকে দেশি বিদেশি আরো বেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদের প্রথম দিন দূরের পর্যটক কম আসলেও স্থানীয়দের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। দ্বিতীয় দিন থেকে দূরের পর্যটকরা আসতে শুরু করবেন। ইতোমধ্যে আবাসিক হোটেল কক্ষ বুকিং দেওয়ার জন্য পর্যটকরা যোগাযোগ করছে। এদিকে ঈদের লম্বা ছুটিতে পর্যটকদের সার্বক্ষণিক সেবা দিতে প্রস্তত রয়েছে হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীরা।
অবির হাসান সে মূলত ঢাকায় বে-সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে অনেকদিন পর বাড়িতে এসেছি। নামাজ শেষ করেই ছেলে মেয়েদের নিয়ে কুয়াকাটায় আসলাম। এখানকার পরিবেশটাও ভাল। অনেক লোকজন এসেছে।
সালেহীন আহম্মদ বলেন, ঈদ মানেই অনন্দ, তাই বন্ধুদের সাথে কুয়াকাটা এসে সমুদ্রে সাঁতার কেটেছি। এ এক দারুন অনূভূতি। এছাড়া বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেছি।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কুটুম’র সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সাপ্তাহিক ছুটিসহ সরকারি ছুটি ছাড়াও দিনগুলোতে পর্যটকের আগমন বেশি হচ্ছে। ঈদের দিনে অসংখ্য স্থানীয় পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠে সৈকত। তবে এবার ঈদের এই লম্বা ছুটিতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকদের আগমন ঘটবে এটাই জানিয়েছেন তিনি।
মহিপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি আমাদের টহল টিম মাঠে রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তারা তৎপর রয়েছে।