আপডেট: ডিসেম্বর ৭, ২০২৩
শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ
চুয়াডাঙ্গা হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ই ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রি.) সকাল ৭টার সময় জেলা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান। এ সময় পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে শহীদদের সম্মানে স্যালুট প্রদান করা হয়।
শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, ডিআইও-১, ডিএসবি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমানসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার ফোর্সবৃন্দ।
উল্লেখ্য স্বাধীনতার সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত ভারত সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার রয়েছে গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এ জেলার মুক্তিবাহিনীর অবদান ছিল অপরিসীম। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দক্ষিণ পশ্চিম রণাঙ্গনের হেডকোয়ার্টার স্থাপন করা হয় চুয়াডাঙ্গায়। চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকেই কার্যক্রম শুরু করে তৎকালীন রেডক্রস বর্তমান রেডক্রিসেন্ট। ১৯৭১ সালে ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর চুয়াডাঙ্গায় সর্বপ্রথম ২০৪ জন মুজাহিদ ও আনসারকে একত্রিত করা হয়। ৬ই ডিসেম্বর পাকবাহিনী মেহেরপুর থেকে ২৮ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে চুয়াডাঙ্গায় আসে।
চুয়াডাঙ্গার মুক্তিবাহিনীরা দর্শনার মিত্রবাহিনীর সাথে যোগ দিয়ে সেই সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের দিকে অগ্রসর হয়। খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় শহরের মাথাভাঙ্গা ব্রিজে বোমা মেরে উড়িয়ে দেয় হানাদার বাহিনী। কিন্তু দর্শনা থেকে আসা মিত্রবাহিনী ও চুয়াডাঙ্গার মুক্তিবাহিনী পৌঁছালে ৭ই ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা ছেড়ে কুষ্টিয়ার দিকে চলে যায়। শত্রুমুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা।
প্রতিবেদক: আমিনুর রহমান নয়ন, স্টাফ রিপোর্টার।